বর্তমান সময়ে সবাই সাংবাদিক, একটি এন্ড্রয়েড ফোন হাতে থাকলেই হয়ে যায় সাংবাদিক। সাংবাদিক হওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু কোন কাজের জন্য একটি নূন্যতম
যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন যা অনেকেই বুঝতে চেষ্টা করেন না। সাংবাদিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা । এটা কোন নড়বড়ে জায়গা নয়।
অন্যদিকে তাকালে এ রকম বৈষম্য আমাদের সমাজে অনেক লক্ষ্য করা যায়। যে কেউ একটি মূল্যবান চেয়ার দখল করে বসে থাকে, আবার অযোগ্য কেউ কেউ চেয়ার দখলের নেশায় পাগল হয়ে ঘুরছে। একজন অযোগ্য, অদক্ষ লোক থেকে জাতি কি আশা করতে পারে? সে কি দিবে জাতিকে? আরো বাস্তবিকভাবেই চিন্তা করলে দেখা যায়- যদি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি হলেন অযোগ্য লোক, কমিটির সদস্যরাও তাই।
তাহলে ঐ বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে হিসেবে স্যারদের কি উপদেশ দিবেন, স্যারদের মেইনটেইন করার মত কি যোগ্যতা আছে তাদের? তাদের হতে ছাত্র – ছাত্রীরা কি পাবে?
ফলাফল শূন্য। কেউ এমপি মন্ত্রী হচ্ছেন টাকার ক্ষমতায়, সংসদে বক্তব্য দেখেও পড়তে পারেন না। আবার কেউ এমপি, মন্ত্রী হওয়ার নেশায়
পাগল হয়ে গিয়েছেন। সাড়া দেশে এভাবে জরিপ করলে দেখা যায় যে যোগ্য স্থানে যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে। কোন কোন জায়গায় দেখা যায় মানুষের জায়গায় ছাগলের মত চেয়ার দখল করে রেখেছে। আসল কথা হলো
আমাদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সাংবিধানিক কিছু পরিবর্তন দরকার।যার ফলে যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য স্হানে থাকতে পারে। শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠির পাশাপাশি তার চারিএিক গুণাবলীর স্বচ্ছতা আছে কিনা সঠিক যাচাই-বাছাই করা জরুরি। সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি উদখাৎ না করতে পারলে যোগ্য ব্যক্তির মূল্যায়ন কখনোই সম্ভব নয়। যার ফলে আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে গেলে এ দেশে আর ফিরে আসেনা। আমাদের দেশে সঠিক মূল্যায়ন
পাবেনা বলে দেশে আর কিছু করার কথা ভাবেনা। এভাবে মেধাবীরা বিদেশকে উন্নত করছে আর আমরা গরিব হতে আরোও গরিব হচ্ছি, জাতি হচ্ছে মেধাশূণ্য। জাতির উন্নয়নে যোগ্যতার মাপকাঠিকে কার্যকর করা দেশের কর্ণধারদের একান্ত ও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।