ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে সোহেল রানা (৩৭) নামে একজন সহযোগী ভুয়া চিকিৎসকে সাজা ও নিবন্ধন না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।
শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলার বারুয়াখালী বাজারে অনিবন্ধিত প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালানা করা হয়েছে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বারুয়াখালী বাজারে বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে মো. সোহেল রানা নামে একজন ভুয়া সহযোগী চিকিৎসককে আটক করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠানের এমবিবিএস চিকিৎসকের সহযোগী ছিলেন।
এমবিবিএস চিকিৎসক সহকারী প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে প্রতি শুক্রবার রোগী দেখেন। কিন্তু তার সহকারী মো. সোহেল রানা সপ্তাহের অবশিষ্ট দিনগুলোতে নিজেই রোগী দেখেন প্রেসস্ক্রিপশনে বিভিন্ন রোগের জন্য টেস্ট লিখে দেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট নিজেই করেন এবং নিজ স্বাক্ষরে সেগুলো রোগীদের সরবরাহ করেন।
তিনি অনেক দিন ধরেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে আসছে। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন ব্যতীত, এমবিবিএস ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩ দিনের বিনাশ্রম সাজা প্রদান ও প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন না থাকায় মালিককে নগদ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক না চালানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে সহযোগিতা করেন নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আ. হালিম বলেন, অনিবন্ধিত প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।