ঢাকার দোহার উপজেলায় পারিবারিক কাজের প্রয়োজনে কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নেয় ভুক্তভোগী। কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিনু বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন।
বুধবার উপজেলার নারিশা এলাকায় এই মর্মান্তিক হৃদরবৃদ্ধারক ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ মিনু বেগম পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলার মধ্য বাঘরা এলাকার বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবরিদল ওই নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নারিশা এলাকায় পদ্মাপাড়ে বোরকা পরিহিত এক নারীকে একা বসে থাকতে দেখে। অল্প কিছুক্ষণ পর অার ওই নারীকে দেখতে পাওয়া যায় না। না পেয়ে স্থানীয়রা পদ্মার তীরে এগিয়ে এসে চারদিক দেখতে থাকে ।
পরে নদীপাড়ে ঐ মহিলার পরিহিত বোরকা, মোবাইল ও একটি চিরকুট পড়ে থাকতে দেখে তারা। চিরকুটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী কিস্তির স্যারেরা।’
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে মিনুর মোবাইলে স্বজনদের কল আসে। এর কিছুক্ষণ পর নিখোঁজ ওই নারীর স্বজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরিদল ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।
সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবরিদল ঐ নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালান।
মিনু বেগমের স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, পরিবারে প্রয়োজনে একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ছিলেন। গত দুই মাস ধরে ছেলেরা বিদেশ থেকে কোনো টাকা না পাঠানোর কারণে তার স্ত্রী এনজিওর ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়। সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এনজিওকর্মীরা প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছিল।
দোহার থানার শাইনপুকুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, নদীর পাড় থেকে একটি চিরকুট ও একটি বোরখা উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত চিরকুট ও স্বজনদের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঋণের চাপে ওই নারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন।