ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঔষধ কোম্পানির লোকজনদের দৌরাত্ম্যে রোগীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা আরো জানান,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্র ঔষধ কোম্পানির লোকজন আর ডাক্তারের মধ্যে লুকোচুরি খেলা চলছে।রোগীরা যখন চিকিৎসকের নিকট গিয়ে তাদের নানা রোগের বর্ননা দিচ্ছে।অনেক রোগী গোপন রোগের কথা চিকিৎসাকের কাছে বলতে গিয়েও বলতে পারছেনা কারণ ঔষধ কোম্পানির লোকজন সেখানে বসে থাকে। যার কারণে অনেক রোগী অনেক সময় তাদের সমস্যার কথা চিকিৎসককে বলতে পারছেনা। এ জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ রোগীরা। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ন্য বাড়ছেই। এতে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগী ও স্বজনরা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মতো হাসপাতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। বিনা অনুমতিতে হাত থেকে টেনে নিয়ে রোগীদের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলেছেন।আবার গিয়ে ভিড় করছেন চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, বারবার নির্দেশনা দিলেও শোনেন না তারা। হাসপাতালে কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য দিন ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানছেন না তারা। তবে কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোনোব্যবস্থা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালজুড়ে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। রোগী চিকিৎসক এর চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই কয়েকজন মিলে এই ভয়াবহ সময়েও ঘিরে ধরেন তাকে শুরু করেন ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলা এমনকি সুযোগ পেলেই ঢুকে পড়ছেন চিকিৎসকের কক্ষ। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা ডাঃ মো. শহীদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনেক বার তাদের কে বার বার বলার পড়ও তারা মানছে না।