Search for:

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা সম্মাট হোসেন ও তার মামা যুবদল নেতার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে বৃহষ্পতিবার সকাল ১১ টায় নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদে সাথে মতবিনিময় করেন ইউএনও। এসময় তিনি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদ তুলে ধরেন।

জানা গেছে সম্প্রতি নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের তেলেঙ্গা গ্রামে মাটি কাটার বিষয়ে ওই গ্রামের সম্মাট হোসেন (ঢাকা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত) এবং তার মামা কৈলাইল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মিঠু মোল্লা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে। পরবর্তীতে তারা নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন আব্দুর রাজ্জাক হিরু তার নিজের জমি থেকে মাটি কেটে পুকুর তৈরী করে মাছ চাষের উদ্যোগ নেয়। তাৎক্ষণিক হিরুকে না পেয়ে পরে তাকে ডেকে মাটি কাটতে নিষেধাজ্ঞা দেন।
এরপর গত ১৮ এপ্রিল সম্মাট তার মামা উপজেলায় আসলে তাদের কথা শুনেন এবং এলাকায় তাদের দুই মামা ভাগ্নের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও মাদক ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ইউএনও’র উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । তাকে বদলীর হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন। এসময় ইউএনও’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা সম্মাটের উপর চড়াও হয়। সম্মাট ও তার মামাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তারা আনসার সদস্যদের ধাক্কা দেয়। এসময় তারা ওই দুই জনকে থানায় প্রেরণ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় কয়েকজন আনসার সদস্য সম্মাট ও তার মামাকে মারপিট করে বলে অভিযোগ আছে। ঘটনার সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কৈলাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় পরিস্থিতি সমাধানে কৈলাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির আহমেদ জিম্মা নিয়ে তাদেরকে নিয়ে যায়। তারা উভয়পক্ষ মীমাংসার লক্ষে উপজেলা ত্যাগ করে। পরবর্তীতে সম্মাট ও তার মামা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনও কর্তৃক মারপিট করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালায়। এদিকে গত রোববার শেরে বাংলানগর থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সম্মাট ও তার মামা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মতিউর রহমান এসব অপপ্রচারের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তার কাজে বাধাসহ নানান রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেয় এসব সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তিনি সম্মাট ও তার মামা কৈলাইল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির মাদক সেবনরত কিছু ছবি ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে দেন। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি নবাবগঞ্জে কিছু প্রভাবশালী মহলের দখলে থাকা সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। স্বার্থ ক্ষুন্ন ওই মহলের সহযোগিতা নিয়ে প্রত্যক্ষপরোক্ষ ভাবে তারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। ফলে সম্মাট ও তার মামা ওই মহলের মদদে আমার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেতে পায়তারা করছে।তবে এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া কিসমত বলেন, আমার সামনে ওই দিন মারধরের কোন ঘটনা হয়নি।

Leave A Comment

All fields marked with an asterisk (*) are required

error: Content is protected !!