ঢাকার নবাবগঞ্জে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি – ২ এর অফিস ও বান্দুরার জোনাল অফিসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায় যে, ঐই বিদ্যুৎ সেবা নিতে গিয়ে গ্রাহকরা হচ্ছেন হয়রানির শিকার। জনৈক গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায় – বিদ্যুৎ সেবা নিতে এসে লিগাল রাস্তায় পাচ্ছেন না সেবা। কর্মকর্তারা গ্রাহকদের জিম্মি করে ঘুড়িয়ে পেচিয়ে
হয়রানি করে ঘুষ বানিজ্য করে সেবা দেন। কেউ কেউ জানান – ৪-৫ দিন ঘুরেও সাধারণ একটি কাজ করে দিচ্ছেন না কর্মকর্তারা, চাচ্ছেন ঘুষ। আজকের তথ্য থেকে জানা যায় – এত হয়রানির পরও কর্মকর্তারা আবার ডেকেছেন “কর্মবিরতি কর্মসূচি “। শুধুই নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল, এছাড়া সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, অফিসে নেই কর্মকর্তারা চেয়ার – টেবিলগুলো ফাঁকা পরে রয়েছে। গ্রাহকরা সেবা নিতে এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ফিরে যাচ্ছেন মনে কষ্ট নিয়ে। এই সুযোগটাি আবার দুই একজন কর্মকর্তা নিতে চেষ্টা করছেন, কাজ করার নাম করে চাচ্ছেন মোটা অংকের ঘুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক জানান – “একটি বিদ্যুৎ এর লাইন এর কাজ করাতে এসে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ ও বান্দুরা জোনাল অফিসে ৪-৫ বার আসার পর কর্মবিরতি চলছে, এই সুযোগে একজন স্যার মোটান অংকের টাকা দাবি করেন, এতে আমি বিরক্ত হয়ে যাই এবং বলেছি অফিসে ও টাকা দিব আবার আপনাকেও টাকা দিব এর মানে কি?
কর্মবিরতি শেষ হোক তারপর অফিসের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েই কাজ করাবো”
পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তাদের এহেন হয়রানির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ অসহায় বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা।
হয়রানি বন্ধে কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।