ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি-ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণেই তাদের রোগীর মৃত্যু হয়। এরকম ডাক্তাররের ভুল চিকিৎসায় একাধিক রোগীর মৃত্যুর পরও কিভাবে প্রতিষ্ঠানটি চলছে এমনই অভিমত প্রকাশ করেন সচেতন মহল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং) সকালে আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা মোল্লা সুপার মার্কেটে দি ল্যাব এইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, গত রবিবার ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এই প্রতিষ্ঠানে রোগীর পিত্তথলির অপারেশন বাবদ ২৪ হাজার টাকা চুক্তিতে ভর্তি করা হয়, এরপর রাতে পিত্তথলির অপারেশন করার পর একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, এসময় রোগীর মুখ দিয়ে ফেনা উঠে তার মৃত্যু হয়। নিহহের নাম মোঃ মিজানুর রহমান বেপারী (৩০), সে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার সূর্যমুখী গ্রামের মোঃ লুৎফর বেপারীর ছেলে। মিজানের ছোট ভাই রিপন হোসেন বলেন, পিত্তথলির অপারেশন করার জন্য তাকে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অপারেশন করার পর সারারাত বমি করছে। এজন্য নার্স ডাকা হয়েছে। নার্স প্রথম ইনজেকশন দেওয়ার পর তার চেহারা সবুজ হয়ে গেছে। আরো ব্যথা বাড়ছে। এরপর আরো একজন আসছে। তিনি ডাক্তার ও না, নার্সও না। কিছুই না। ওই ব্যক্তি আরও দুইটা ইনজেকশন দিছে। ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে নাক দিয়া মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে সে মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে যারা মহিলা নার্স ছিল। তারা লাশ তাড়াতাড়ি বের করে দিয়ে বলে, অন্য মেডিকেলে নিয়ে যান। অন্য মেডিকেলে নিয়ে গেছি তো তারা বলছে এ তো মৃত।এলাকাবাসী জানাই উক্ত হাসপাতালের মালিক মুন্টু স্থানীয় ক্ষমতার দাপটে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কাসাই খানা খুলে প্রকাশ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তিনি ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে নিজেকে রক্ষ করেন। তার ক্লিনিকে এ পর্যন্ত বহু লোকের প্রাণ গেছে।২০২২ সালে এই হাসপাতালের জরায়ু অপারেশন করতে গিয়ে এক নারীকে ভুল চিকিৎসায় মুত্রনালী কেটে শিলাই করে পরে রোগীর মৃত্যু হয়।বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা দেওয়া হয়। পুলিশ ও র্যাব জানায়, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মন্টু বলেন, আমি অসুস্থ, ঢাকায় চিকিৎসার জন্য আসছি। তিনি আরো বলেন, আশুলিয়া সকল সাংবাদিকদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক আছে এবং থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে, আমার আত্মীয় এসপি’র দিয়ে ফোন করানো হয়েছে, তারা বিষয়টি দেখবেন। এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আমার এখানে কালকে এক রোগী অপারেশন হয়েছে। আজকের সকালে রোগীটা খারাপ হইছে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছিল। তবে চিকিৎসায় ভুলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এবিষয়ে জানতে চাইরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, এসকল বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।