চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বজ্রপাতে ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট ও হবিগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৩ জন করে মারা গেছেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) এ তথ্য প্রকাশ করে।
দেশের জাতীয় এবং আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা, কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনের স্ক্রল থেকে বজ্রপাতে হতাহতের তথ্য সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি।
বগুড়ায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু
এসএসটিএফ জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বজ্রপাতে প্রাণহানির কোনো ঘটনানি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাকি আট মাসে বজ্রপাতে ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন শিশু, ৫৫ জন নারী। ৫৫ নারীর মধ্যে ৬ জন কিশোরী। এ ছাড়া মোট মৃত্যুর মধ্যে ২৪২ জনই পুরুষ। তাদের মধ্যে কিশোরের সংখ্যা ১৭ জন। শুধু কৃষিকাজের সময় বজ্রপাতে ১৫২ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গরু আনতে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ২ জেলের মৃত্যু
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো: পাঠ্যপুস্তকে বজ্রপাত সচেতনতার অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা; আধা ঘণ্টা আগেই বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানা যায়, সরকারি তথ্যের (গভ. ইনফো) মাধ্যমে তা জানানো; কৃষক ও জনসাধারণের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; মাঠে মাঠে শেল্টার সেন্টার স্থাপন এবং আহতদের ফ্রি চিকিৎসা দেয়া